Al-Hadith আল-হাদিস

ইসলামে কন্যা সন্তানের মর্যাদা

আল হাদিসঃ (আবু দাউদ )
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যার একটি কন্যা সন্তান আছে, সে তাকে জীবন্ত প্রোথিত করেনি, তাকে অপমানিতও করেনি এবং তার ওপর পুত্রদের অগ্রাধিকার দেয়নি, আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।

ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ
পিতা-মাতার নিকট সকল সন্তানের অধিকার সমান, চাই ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। সকলেই সমান স্নেহ-আদর ও বস্তু সামগ্রী পাওয়ার হকদার। এ ক্ষেত্রে ছেলেদের প্রধান্য দেয়া এবং মেয়েদের বঞ্চিত রাখা মারাত্মক অপরাধ। যারা সন্তানের ক্ষেত্রে সাম্যের নীতি অবলম্বন করবে, তাদের পুরস্কারের বর্ণনা দিয়ে রাসুলে আকরাম (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তির কন্যা সন্তান রয়েছে আর সে তাকে জাহিলিয়াতের যুগের প্রথা মতো জীবন্ত কবর দেয়নি, তাকে অধিকার প্রদানে হেয় প্রতিপন্ন করেনি এবং পুত্রদের কন্যা সন্তানের ওপর প্রাধান্য দেয়নি, এমন পিতা-মাতাকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
আল্লাহ পাক আমাদের উল্লেখিত হাদিস মত আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন

Al-Hadith আল-হাদিস

হাদিস নম্বরঃ মেশকাত শরীফ (৪৭২৩)

হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, যখন কোন বান্দার পিতা-মাতা অথবা তাদের যে কোন একজন মারা যায়, তখন সে তাদের অবাধ্য। অতঃপর সে তাদের জন্য অবিরত দোয়া ও ক্ষমা প্রর্থনা করতে থাকে, এতে আল্লাহ তা’য়ালা তাকে পুণ্যবান লোক হিসেবে লিপিবদ্ধ করে নেন।

ব্যাখ্যামূলক অনুবাদঃ

পিতা-মাতা ইন্তেকালের পর তাদের মাগফিরাত কামনা করা এবং তাদের মুক্তির জন্য দোয়া করা সন্তানের একান্ত কর্তব্য। তাদের জীবদ্দশায় যদি সন্তানের অবাধ্যতা প্রকাশ পায়, তাহলে এটা উহার কাফফারা স্বরুপ কাজ করবে। এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসুল (সঃ) ইরশাদ করেছেন, কোন সন্তান যদি পিতা-মাতার জীবদ্দশায় তাদের অবাধ্য হয়ে নাফরমানী করে থাকে এবং এ অবস্থায় যদি তাদের উভয়জন অথবা একজন মৃত্যুবরণ করে, অতঃপর সেই অবাধ্য সন্তান যদি আল্লাহর নিকট তাদের জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রর্থনা করতে থাকে, তার সেই দোয়া ও ক্ষমার উসিলায় আল্লাহ তা’য়ালা তাকে পূন্যবানদের দলে শামিল করে নিবেন।————–সুবহানাল্লাহ———আল্লাহু আকবর———

Spend for good

{يَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ ۖ قُلْ مَا أَنفَقْتُم مِّنْ خَيْرٍ فَلِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَالْيَتَامَىٰ وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ ۗ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ} [البقرة : 215]

তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও-যে বস্তুই তোমরা ব্যয় কর, তা হবে পিতা-মাতার জন্যে, আত্নীয়-আপনজনের জন্যে, এতীম-অনাথদের জন্যে, অসহায়দের জন্যে এবং মুসাফিরদের জন্যে। আর তোমরা যে কোন সৎকাজ করবে, নিঃসন্দেহে তা অত্যন্ত ভালভাবেই আল্লাহর জানা রয়েছে।

They ask you, [O Muhammad], what they should spend. Say, “Whatever you spend of good is [to be] for parents and relatives and orphans and the needy and the traveler. And whatever you do of good – indeed, Allah is Knowing of it.”

Al Quran আল কুরআন

{وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا} [الإسراء : 36]

যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা আল ইসরা-৩৬)

And do not pursue that of which you have no knowledge. Indeed, the hearing, the sight and the heart – about all those [one] will be questioned. (Sura Al Isra-36)

Hadith হাদিস

রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ৩ ধরনের বন্ধু বেছে নিতে বলেছেনঃ

১। যার কথা আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করে,
২। যার উপস্থিতি আপনাকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়,
৩। যার কাজকর্ম আপনাকে আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেয়।

The Messenger of Allah (peace be upon him) said to choose three types of friends:

1. The words of which increase your knowledge,
2. Whose presence reminds you of Allah,
3. Whose work reminds you of the Hereafter.